Quick Query
News & Announcement
গতকাল ২৫শে জুলাই সন্ধ্যায় উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় প্রাক্তনী সমিতির পক্ষে একটি মনোগ্রাহী ওয়েবিনার আয়োজিত হয়েছিল। বিষয় ছিল - কোভিড অতিমারী : ভাইরাসের অনর্গল মিউটেশন, ভ্যাকসিন এবং সামাজিক সুরক্ষা প্রদানে রাষ্ট্রের ভূমিকা। প্রথম বক্তা ছিলেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার এবং মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ডাঃ সঞ্জয় মল্লিক। তিনি বিগত প্রায় দুবছর সময়কালে কোভিড ভাইরাসের জেনম সিকোয়েন্স, দ্রুত গতিতে অনবরত মিউটেশনের কারন ও নব নব মিউটেটেড ভ্যারিয়েন্ট থেকে আরো বেশি গতিতে সংক্রমণের বৈজ্ঞানিক ও চিকিৎসাগত ব্যাখ্যা উপস্থিত করেলেন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে যে সকল তথ্য পাওয়া গেছে, তার বিশ্লেষণ করে তিনি ভারতে তৃতীয় পর্বের সংক্রমণের সম্ভাবনা যেমন তুলে ধরেন তেমনই এই আক্রমণের থেকে প্রতিকারের সহজ উপায় হিসেবে কোভিড বিধি ও সতর্কতা মেনে চলার বাধ্যবাধকতা ব্যাখ্যা করেন।
দ্বিতীয় বক্তা ছিলেন প্রাক্তনী সমিতির সদস্য তেলেন্গানার সেকেন্দ্রাবাদে সেন্ট মেরী'জ ফার্মাসি কলেজের অধ্যাপক ড: গুরুস্বামী মারিয়াপ্পান। তিনি ভারতবর্ষ সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ভ্যাকসিন গবেষণা ও উৎপাদনের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিসমূহ সহজ সরল ও প্রাঞ্জল ভাষায় বিশ্লেষণ করেন। কিভাবে ভ্যাকসিন কাজ করে এবং কোভিড ভাইরাসের বিরুদ্ধে শরীরে প্রতিরোধ শক্তি কিভাবে তৈরি করতে সাহায্য করে সেই সব জটিল বিষয় তাঁর আলোচনায় উঠে আসে।
তৃতীয় বক্তা ছিলেন প্রাক্তনী সমিতির সদস্য এবং পাঁশকুড়া বনমালি কলেজের অধ্যাপক ড: সুগত সেন। তিনি অতিমারীর মোকাবিলায় রাষ্ট্রের দায়বদ্ধতা, প্রশাসনিক দক্ষতা যেমন বিশ্লেষণ করেন তেমনই বৃহত্তর সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করে অতিমারীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য রাষ্ট্রের সীমাবদ্ধতা ও বহুবিধ ত্রুটি বিচ্যুতি তুলে ধরেন। নাগরিক সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার মধ্যে একটা অদৃশ্য দেওয়াল গড়ে উঠেছে যার অনিবার্য পরিণতি হল জনসমাজের মধ্যে এই অতিমারীর বিরুদ্ধে সংহতিবোধ সঞ্চারিত করতে কেন্দ্রীয় ও রাজ্যে রাজ্যে সরকারের সীমাবদ্ধ ভূমিকা। এই বিপর্যয়কর অব্যবস্থা থেকে মুক্ত হবার পথ ও পন্থা ড: সেন আলোচনা করেছেন।
উপস্থিত সদস্যদের সাথে প্রশ্ন ও উত্তর পর্বে মত বিনিময় হল অনেকটা সময় নিয়ে ।
অনুষ্ঠানটি সুচারু ভাবে সন্চালনা ও পরিচালনা করেন প্রাক্তনী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড: তাপস চট্টোপাধ্যায়।
ReplyForward |